সংস্কৃতির বাহন হলো ভাষা। আমাদের ভাষা আন্দোলন কেবলমাত্র একটি রাজনৈতিক আন্দোলন ছিলো না বরং বহুলাংশে সেটি ছিলো সাংস্কৃতিক আন্দোলন। এক অর্থে মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচনা লগ্নও বলা যেতে পরে ভাষা আন্দোলনকে। ভাষা আন্দোলনই প্রথম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ভিতকে সগৌরবে কাঁপিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলো। তাই আমাদের মুক্তি সংগ্রামে ভাষা শহীদ ও ভাষা সৈনিকদের অবদানও অপরিসীম। অত্যন্ত গর্ব অনুভব করছি প্রজাতন্ত্রের সামান্য কর্মচারি হিসেবে ভাষা শহীদ আবদুস সালামের জন্মস্থান দাগনভূঞা উপজেলায় দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পেয়ে। ভালো লাগছে শহীদ সালামের নামে তাঁর নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়টির নামকরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের একজন হতে পেরে। কৃতজ্ঞতা আমাদের সুযোগ্য, সুদক্ষ, জনহিতৈষী, সংস্কৃতিমনা.....এরকম বহু গুণের অধিকারী শ্রদ্ধেয় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের প্রতি, যাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি’র পূর্বেই জনতার এ যৌক্তিক চাওয়া পূর্ণ হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্যারের আন্তরিক উপস্থিতি সকলকে আপ্লুত করেছে। কৃতজ্ঞতা দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের সম্মানীয় চেয়ারম্যান জনাব দিদারুল কবির রতন, সরকারি সকল দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষক-অভিভাবক-শিক্ষার্থীবৃন্দ,মাতুভূঞা ইউনিয়ন পরিষদের তরুণ ও উদ্যমী চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল্লা আল মামুন, সাংবাদিকবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি, যাঁদের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি সুন্দর হয়েছে। আমাদের সম্মিলিত প্রয়াসে ক্ষুধা-দারিদ্র-কুসংস্কার-কূপমণ্ডুকতা-সন্ত্রাস-মাদক-জঙ্গিবাদ মুক্ত প্রগতিশীল-বিজ্ঞানমনস্ক-সমৃদ্ধ-সোনার মানুষে ভরপুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবেই।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস