দাগনভূঞা, ফেনী
ফেনীর মহিপাল থেকে এখানে দুভাবে যাওয়া যায়-
১.মহিপাল থেকে উঠবেন নোয়াখালীগামী যেকোন বাসে। বলবেন সেবারহাট বাজারে নামিয়ে দিতে। সেবারহাট বাজার পড়েছে নোয়াখালী জেলায়, ফেনী জেলার শেষ সীমানা থেকে দুরত্বমাত্র এক কিলোমিটার। সেবারহাট বাজারে বাস থেকে নেমে বাজারের বাঁপাশ (উত্তরপাশে) চলে আসুন। একটা লোহার ব্রিজ আছে, কাউকে প্রতাপপুর যাওয়ার সিএনজির কথা বললেই বলে দিবে। সিএনজিতে উঠে পড়ুন । প্রতাপপুর বাজারের পাশেই প্রতাপপুর জমিদার বাড়ি ।
অথবা,
২. মহিপাল থেকে রাজাপুর কিংবা কোরায়েশ মুন্সি বাজারগামী যেকোন সিএনজিতে উঠুন। সেখান থেকে সিএনজিওয়ালাকে বললে আপনাকে প্রতাপপুর জমিদার বাড়িতে পৌঁছে দিবে ।
পরিচিতিঃ এটি ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার প্রতাপপুর এলাকায় অবস্থিত । প্রায় ১৮৫০ কিংবা ১৮৬০ সালে এই জমিদার বাড়িটি নির্মিত হয় । আরেকটি তথ্যমতে, বাংলা ১২২৮ সালের ১৩ ফাল্গুন শেষ হয় এই জমিদার বাড়ির নির্মাণকাজ । এই জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রাজকৃষ্ণ সাহা কিংবা রামনাথ কৃষ্ণ সাহা । স্থানীয়দের কাছে এটি প্রতাপপুর বড় বাড়ি হিসেবেই পরিচিত। প্রায় ১৩ একর জায়গা জুড়ে এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করা হয়। বাড়িটিতে ১০টি ভবন ও ১৩টি পুকুর রয়েছে। এরমধ্যে ৫টি পুকুর ঘাট বাঁধানো ।
এই এলাকার আশেপাশে যত জমিদার ছিল সবার শীর্ষে ছিল এই জমিদার । জমিদার রামনাথরা ছিলেন পাঁচ ভাই । তারা থাকতেন পাঁচটি দ্বিতল ভবনে । এই জমিদার বংশধররা জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পরও ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এই জমিদার বাড়িটিতে ছিল । নিরাপত্তার অভাব, ব্যবসায়িক ও যোগাযোগ সমস্যার কারণে ১৯৯৮ সালের দিকে এ বড় বাড়িটি ছেড়ে দিয়ে তার বংশধররা ঢাকা, চট্টগ্রাম, কলকাতা ও ত্রিপুরায় পাড়ি জমান । বাড়িটি এখনো জমিদারের বংশধরদের মালিকানাধীন রয়েছে । স্থানীয়রা একে বড় বাড়ি/সাহু বাড়ি নামেই চিনে ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস